Saturday, January 1, 2022

রাহেবুলের গদ্য...

দুপুর বেলা ঘাসের ওপর শুয়ে শুয়ে তখন। মাথার ওপর একটা চিল ঘুরপাক খাচ্ছিল, শকুনের ন্যায়। মোবাইল তাক করতে তিনি ছবিতে ধরা দিলেন। এবং আমার মনে পড়ল 'যেদিনকে ডানা আর ডুবুরি' গদ্যটার কথা। তারই অংশবিশেষ পাঠক সমীপে।

 

চিলার উড়ান

*********

 

...... আব্বাকে ছোটবেলায় কে নাকি শিখিয়ে দিয়েছিল ‘চিলার উড়ান’। কীভাবে নিজেই চিল হওয়া যায়, ডানা গজিয়ে নিতে হয়, ডানা বেঁধে উড়তে হয় শিখিয়েছিল। বাবা শেখেনি ভালো মতন। ঠকে শেখেনি। ঠকবার গল্প তবু বাবা জানত, বলেছিল। উড়বার তাড়না বাবার একার তো নয়, অনেকের ছিল, থাকে। আজও অমনই আছে দিন বদলে গেলেও, রাত্তির না বদলালেও। বাবা শেখেনি উড়ান, আমিও শিখিনি। শোনাটা কেবল কানে কানে মুখে মুখে চোখে চোখে সরু অলিগলি কিংবা আলপথ হয়ে আমাদের মধ্যে। ভেতরবাড়িতে হাজির। ভেতরবাড়িটা কখনও, কখন দ্যাশবাড়ি হয় আবার। একটা গল্প সকলে জানে ডানা ভাঙার। ভেঙেছিল এক গাঙচিলের। বাংলার পুব হতে সে অতিদূর কোনো কলিকাতা এসেছিল উড়ে উড়ে। বা কলিকাতা থেকে কোথাও কামরূপ-কামতাপুর গেছিল উড়ে উড়ে। এমতন কত উড়ান। কোথা থেকে কোথায় যায় কে। আবার একাধিকটা গল্প জানিনা ডানার, আর তার চিলের। কেউ কেউ। যেমন চিলা রায়। সেও আছিল এক চিল। যেমন পরি। পরিরা নাকি রাজা-রাষ্ট্র-রাক্ষস ইত্যাদির গড়া সীমান্ত পেরতে গিয়ে নিয়ত তাদের ডানা খোয়ায়।........




No comments:

Post a Comment